বাংলাদেশে ই-কমার্স
১৯৭১ সালে স্টানফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও ম্যাসাচুসেটস ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি এর শিক্ষার্থীদের মাঝে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে অর্পানেট যে উদ্যোগ গ্রহন তা- ই এখম বিশ্বব্যাপী এক আলোড়ন সৃষ্টিকারী মাধ্যমে রূপ নেয়।অনলাইন মার্কেটিংয়ের জায়ান্ট কোম্পানি আমাজন ও ই-বে তাদের যাত্রা শুরু করে ১৯৯৫ সালে অন্যদিকে ই-কমার্স সাইটের অন্যতম দখলদার আলিবাবা গ্রুপ তাদের কার্যক্রম শুরু করে ১৯৯৯ সালে। মাত্র অল্প ক-বছর পরেই ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হতে শুরু করে ঘরে বসে কেনাকাটা করার এ মাধ্যমে যা মাত্র পাচ বছরেই ১০০ বিলিয়ন ডলারের ব্যাবসায় পরিণত হয়।
বিশ্বব্যাপী এর প্রচার ও প্রসার বহু আগ থেকে হয়ে আসলেও বাংলাদেশে আসতে আসতে ২০১০-২০১১ সাল লেগে যায় বাংলাদেশে এ পর্যন্ত শীর্ষে থাকা ই-কমার্স সাইটগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে আলিবাবা র মালিকানাধীন দারাজ ডট কম উল্লেখ্য যে গত বছর ২০১৯ সালেই দারাজের সত্তাধারী লাভ করে দারাজকে আলিবাবা গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপরেই রয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান আজকের ডিল, প্রিয় সপ, ইভ্যালী ইত্যাদি।
জার্মান ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টাটিস্টার দেয়া তথ্য মতে, বাংলাদেশ সারা বিশ্বে ই-কমার্স ব্যাবহারকারীদের মধ্যে ৪৬ তম যার বাৎসরিক লেনদেনের পরিমান - দুই হাজার সাতাত্তর মিলিয়ন ডলার যা গত বছর ছিল এক হাজার ৬ শ আটচল্লিশ মিলিয়ন ডলার আশা করা হচ্ছে আগামী ২০২৩ সাল নাগাদ এ লক্ষ্য মাত্রা ৩০৭৭ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে৷ তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক জানান - চলতি বছরে বাংলাদেশে ই-কমার্সের প্রবৃদ্ধি ৫০% হয়েছে। অন্যদিকে ই-কমার্স আ্যসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ( ইক্যাব) জানায় প্রতি তিনবছর পরপর বাংলাদেশে ই-কমার্সের প্রবৃদ্ধি হয় ১০০ শতাংশ।
আঙ্কটাডের রিপোর্ট অনুযায়ী গত বছর বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ শতাংশ যেখানে বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি ২৫শতাংশ। গত পাচ এপ্রিল ২০২০ আন্তর্জাতিক ই-কমার্স সপ্তাহ উপলক্ষে প্রকাশিত রিপোর্টে এ তথ্য উঠে আসে। অন্য দিকে গবেষণা প্রতিষ্ঠান কায়মু ডট কম ( kaymu.com.bd) এর তথ্য মতে বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ বিক্রি হয় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও গাজীপুর এ যায় ৩৫% ঢাকায়, ৩৯ শতাংশ চট্টগ্রামে এবং ১৫ শতাংশ গাজীপুরে হয়৷ যার মধ্যে ৭৫ শতাংশ গ্রাহক ১৮-৩৪ বছর বয়সের।
ইক্যাবের দেয়া তথ্য মতে, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতিমাসে ৭০০ কোটি টাকার লেনদেন হয় যেখানে ৭৫০০ টি দেশি বিদেশি কোম্পানি কাজ করে যাচ্ছে যা নিয়ে তারা খুব আশাবাদী যদিও দুর্বল ইন্টারনেট, সহজযোগ্য লেনদেন এর অভাব, ও যাতায়াত ব্যবস্থায় কারণে কিছু হুমকির মুখে রয়েছে যার ফলসরূপ তারা এখনও গ্রামের মানুষের কাছে পৌছতে পারে নি৷
বাংলাদেশে ই-কমার্স
Reviewed by সার্থান্বেষী
on
জুন ২৩, ২০২০
Rating:
কোন মন্তব্য নেই: