মেহরাব নয়নের রহস্য গল্প- "ইন্দ্রিয় লালস-০১"


-হ্যালো মেহরাব স্যার বলছেন"?
–জ্বী, কে বলছেন আপনি"?
–স্যার আমি ওসমানীনগর হসপিটাল থেকে ডাক্তার শামীম বলছি। এখানে দুইটা খুন হয়েছে স্যার। সেটাও আবার একটা ছেলে তার নিজের মা বোনকে খুন করেছে। শুধু তাইনা স্যার, আমরা যখন লাশগুলো দেখি তখন লাশের গায়ে সুতো পরিমাণ ও কোনো কাপড় ছিলোনা। আমাদের মনে হচ্ছে লাশের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা হয়েছে"।
.
ডাক্তার শামীমের শেষ কথাটা শুনে বুকটা ধুক করে উঠলো। লাশের সাথে শারীরিক সম্পর্ক? ভাবা যায়??
প্রচন্ড শকড নিয়ে বললাম,
–পাগল হয়ে গেছেন আপনি? কি বলছেন এসব? একে তো বলছেন ছেলে খুন করেছে তার নিজের মা বোনকে। তার উপর আবার বলছেন লাশের সাথে যৌন সম্পর্ক করা হয়েছে।
কি বলছেন বুঝতে পারছেন"?
–স্যার আমি এমনি এমনি কিছু বলছিনা। আপনি প্লিজ তাড়াতাড়ি আসুন। এখানে আসলে সব বুঝতে পারবেন"।
কথাটা বলে ডাক্তার শামীম কলটা কেটে দিলেন। আমি মোবাইলের দিকে বড়বড় চোখে কিছু সময় তাকিয়ে রইলাম।
এটা কিভাবে সম্ভব?
ছেলে তার নিজের মা বোনকে খুন করেছে এটা বিশ্বাসযোগ্য। এমন অনেক হচ্ছে।
কিন্তু লাশের সাথে শারীরিক সম্পর্ক?
ভাবতেই আমার শরীরটা শিউরে উঠছে।
.
কন্সটেবল আসিফকে নিয়ে হসপিটাল পৌছালাম। হসপিটালের প্রত্যেকটা মানুষ এই ঘটনা নিয়ে কানাকানি করছে।
কেউ বলছে 'এটা কোনো জ্বীনের কাজ'। আবার কেউ কেউ বলছে নিজের ছেলেই প্রথমে রেপ করেছে, তারপর খুন। আমাকে দেখামাত্র একজন ডাক্তার এসে বললেন,
"স্যার আমি ডাক্তার শামীম। আমিই আপনাকে কল করেছিলাম। চলুন আপনাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাই"।
.

ডাক্তার শামীমের পিছন পিছন হেঁটে একটা কেভিনে ঢুকলাম।
দুইটা লাশ। একটা বেডে, অন্যটা ফ্লোরে পড়ে আছে। গলা কেটে খুন করা হয়েছে দুজন'কেই।
রুমের এক কোণায় বসে মাথা নিচু করে কান্না করছে একটা ছেলে।
আমি বললাম,
–ছেলেটা কে"?
ডাক্তার শামীম খানিকটা রেগে বললেন,
–মেহরাব স্যার, এই ছেলেটা এখন কান্নার অভিনয় করছে। আপনি একদম ওর কান্নায় গলবেন না। এই ছেলেটাই খুনি। ছেলেটার নাম রাজু।
যে দুইজন মারা গেছেন একজনের নাম মায়া হক। ছেলেটার মা।
অন্যজন সামিয়া। ছেলেটার বোন"।
–তো ছেলেটাই যে খুন করেছে এটার প্রমাণ কি? আর লাশের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা হয়েছে এটাই বা কিভাবে বুঝলেন"?
–স্যার গতকাল রাতে এই ছেলেটার সাথে তার মায়ের কিছু একটা নিয়ে অনেক ঝগড়া হয়। অনেক চিল্লাচিল্লি করছিলেন ওর মা। হসপিটালের অনেকেই শুনেছে তাদের এই চিল্লাচিল্লি।
তারপর শেষরাতে কি হয়েছে এটা তো স্যার আমরা জানিনা। কিন্তু আজকে সকালে একজন নার্স ওদের কেভিনে আসা মাত্রই চিৎকার করে উঠে।
আমরা সবাই চিৎকার শুনে কেভিনে আসি। এসে দেখি এই ছেলেটা তার মায়ের লাশের কাছে দাঁড়িয়ে আছে।
হাতে একটা রক্তাক্ত ছুরি।
ওর মায়ের গলা তখন রক্তে লাল।
শরীরে কোনো কাপড় নেই।
আমি তাড়াতাড়ি লাশটার কাছে যাই।
দেখেই বুঝা যাচ্ছিলো শারীরিক সম্পর্ক করা হয়েছে। ফ্লোরে আরেকটা লাশ পড়া ছিলো। সামিয়ার লাশ। ছেলেটার বোন।
কিন্তু সামিয়ার শরীরে কাপড় ছিলো।
এই রুমে ওরা ৩জন ই ছিলো স্যার।
মা, মেয়ে এবং ছেলে।
মা মেয়ে খুন হয়েছে।
শুধুমাত্র বেঁচে আছে এই ছেলে।
আমরা সবাই নিজের চোখে দেখেছি রক্তাক্ত ছুরি হাতে এই ছেলেকে লাশের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে।
এখন আপনিই বলুন স্যার, খুনটা রাজু ছাড়া আর কে করবে? আর বাকি রইলো মায়া হক মানে ছেলটার মায়ের লাশের সাথে শারীরিক সম্পর্কের কথা, এটা তো স্যার আমরা পরিক্ষা করলেই নিশ্চিত হয়ে যাবো। যদি আপনি পারমিশন দেন"।
.

আমি ডাক্তার শামীমকে কিছু বললাম না। লাশগুলোর দিকে ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে আছি।
এখানে সবচাইতে ইম্পর্ট্যান্ট বিষয়টা হচ্ছে, মায়া হকের লাশে কোনো কাপড় ছিলোনা। আবার সামিয়া নামের মেয়েটার শরীরে কাপড় আছে।
অথচ দুজনকে একিই'ভাবে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। কি অদ্ভুত।
এটার মানে হচ্ছে মায়া হকের লাশের সাথে কিছু একটা করা হয়েছে, যেটা সামিয়া নামের মেয়েটার সাথে করা হয়নি।
আচ্ছা প্রথমে রেপ করে তারপর খুন নয়তো? না'কি খুনের পর লাশের সাথে শারীরিক সম্পর্ক?
কিছু ভাবতে পারছিনা। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেলেই সবকিছু ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
লাশগুলোর দিকে তাকিয়ে এসব কথা ভাবছি ঠিক এমন সময়  ফ্লোরে বসে থাকা রাজু কাঁদতে কাঁদতে বললো,
"স্যার আমি মারিনি আমার মা বোনকে। আমি কিচ্ছু করিনি স্যার"।
এই প্রথম আমি ছেলেটার দিকে ভালোভাবে তাকালাম।
কোথাও যেনো দেখেছি ছেলেটাকে।
মস্তিষ্কে একটু চাপ দিয়ে চিন্তা করতেই মনে পড়লো, ওইদিন রাস্তায় একজন বৃদ্ধ মহিলাকে নিজ হাতে খাইয়ে দিচ্ছিলো ছেলেটা।
স্বাভাবিক ভাবেই ঘটনাটা আমার নজরে পড়লো। আজকের যুগে রাস্তার মানুষদের জন্য এইটুকুন ই বা কে করে?
কোনো বড় মনের মানুষ ছাড়া এই ধরনের কাজ অন্য কেউ করবেনা।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এই ছেলেটাই এখন এতো জঘন্য পাপ করবে?
কিছু গন্ডগোল লাগছে।
কিছু একটা কাহিনী আছে আমি নিশ্চিত।
কিন্তু আপাতত সব প্রমাণ যেহেতু রাজুর বিরুদ্ধে, তাই বাধ্য হয়েই রাজুকে ধরে থানায় নিয়ে আসতে হবে।
কন্সটেবল আসিফকে বললাম,
–লাশগুলো পোস্টমর্টেম করার ব্যাবস্থা করো। সাথে খুনের অস্ত্র এবং লাশের উপর কার আঙুলের ছাপ পাওয়া যায় এটাও ফরেনসিক ল্যাব থেকে টেস্ট করাও। খুনি যেইহোক, শাস্তি তাকে পেতেই হবে"।
–ঠিক আছে স্যার"।
.

আমি রাজুকে ধরে থানায় নিয়ে আসলাম। পুরোটা রাস্তা ছেলেটা কাঁদতে কাঁদতে বলছিলো,
"স্যার আমি খুন করিনি। আমি খুনি না"।
কেনো জানিনা আমার মনটাও বলছিলো এখানে কাহিনীটা অন্য কিছু।
কিন্তু একটা রুমে ৩টা মানুষ।
দু'জন খুন। একজন বেঁচে আছে।
তাও আবার সেই একজনকে রক্তাক্ত ছুরি হাতে লাশের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছেন অনেকে।
হিসাবটা মিলাতে পারছিনা।
সবচাইতে ইম্পর্ট্যান্ট যে কথাটা, শরীরের চাহিদা মিটানোর জন্য মানুষের অনেক উপায় থাকতে কেউ লাশের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে যাবে কেনো?
এটা কেমন মানসিকতা? এ কেমন নোংরামি?
.
রুলস অনুযায়ী আসামীর সবকিছু জমা রেখে তারপর জ্বেলে নেওয়া হয়।
রাজুর সবকিছু জমা রাখলাম।
কিন্তু রাজু কান্না করতে করতে বললো,
–স্যার আমার মানিব্যাগটা আমাকে নিতে দিন। আমার মায়ের ছবি আছে এই মানিব্যাগে"।
কথাটা শুনে আমি ড্যাবড্যাব করে রাজুর দিকে তাকিয়ে রইলাম। একটা ছেলে তার মা'কে কতোটা ভালোবাসলে তার ছবি সবসময় সাথে রাখে?
এই ছেলেই কি'না তার মা বোনকে জঘন্যভাবে খুন করে নোংরামি করবে? অসম্ভব!
আমি বললাম,
–সত্যি করে বলো'তো ঠিক কি হয়েছিলো ওই রাতে"?
রাজু চোখটা মুছতে মুছতে বললো,
–সন্ধ্যায় হুট করেই আমার বোন সামিয়ার বুকে ব্যাথা শুরু হয় স্যার। ব্যাথায় কাতরাচ্ছিলো সামিয়া।
আমরা তাড়াতাড়ি সামিয়াকে হসপিটালে নিয়ে যাই।
তখন সন্ধ্যা ৭টা।
ডাক্তার শামীম সামিয়াকে একটা ইনজেকশন দেন, এবং বলেন দুইদিন হসপিটালেই থাকার জন্য। সামিয়ার কিছু টেস্ট করানো লাগবে। আমরাও থেকে যাই। রাত ৯টায় সামিয়ার বাবা আরিফ সাহেব আসেন~~~~
রাজু কথা শেষ করবার আগেই আমি রাজুকে থামালাম। বললাম,
–সামিয়ার বাবা মানে"?
–মেহরাব স্যার, আমার যখন ৪বছর বয়স তখন আমার আব্বু মারা যান। আম্মু দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সামিয়া আমার নিজের বোন না।
আরিফ সাহেব এসে সামিয়াকে দেখে আবার চলে যান। আমার প্রচন্ড রাগ হয় এই মানুষটাকে দেখলে।
এই মানুষটার চরিত্র ভীষণ খারাপ স্যার। বেশিরভাগ রাত তো উনি বাসায় ই আসেন না। মেয়েদের নিয়ে ফূর্তি করেন। আম্মুকে বলতেন ব্যাবসার কাজে বাইরে যাচ্ছেন। কিন্তু আমি তো জানতাম উনি কি করেন। আম্মুকে এসব বললে উল্টো আমার সাথেই রাগারাগি করতেন। আমার কথা বিশ্বাস করতেন না।
উনি সামিয়াকে দেখে চলে যাওয়ার পর আমি আম্মুকে বললাম,
"এই লম্পট মানুষটা এখানে যদি আসার'ই কথা ছিলো তাহলে আমাকে নিয়ে আসলে কেনো"?
আম্মু এটা শুনে আমার উপর রেগে যান। চিল্লাচিল্লি করেন।
আর এই চিল্লাচিল্লি হসপিটালের সবাই শুনেছিলো"।
–তো আরিফ সাহেব এসে নিজের অসুস্থ মেয়েকে একবার দেখেই চলে গেলেন?
হসপিটালে থাকলেন না"?
রাজু চিল্লায়া উঠলো,
–উনি কোনো মানুষদের কাতারেই পড়েন না স্যার। আমি চাচ্ছিনা এই মানুষটা নিয়ে কথা বলতে।
আমার তো মনে'হয় এই মানুষটা খুনিও। আমার বাবাকেও হয়তো এই মানুষটা খুন করেছে"।
আমি প্রচন্ড অবাক কন্ঠে বললাম,
–মানে? পাগলের মতো কি বলছো এসব"?
–মেহরাব স্যার আমি উল্টাপাল্টা কিছু বলছিনা। আমার বাবার বন্ধু ছিলেন এই আরিফ সাহেব।
একদিন একসাথে তারা গাড়ি করে কোথাও যাচ্ছিলেন।
এক্সিডেন্ট হলো। আমার বাবা মারা গেলেন। অথচ এই আরিফ সাহেব বেঁচে গেলেন। ওইসব পুরনো কথা বাদ দিন স্যার। এই আরিফ সাহেবকে নিয়ে আর কিছু বলতে চাইনা"।
রাজুর কথা শুনে স্পষ্ট বুঝতে পারলাম সে কতোটা ঘৃণা করে আরিফ সাহেবকে। আমি বললাম,
–বুঝলাম, আরিফ সাহেবের উপর তীব্র রাগ আছে তোমার। বাদ দিলাম এসব।
ওইরাতে তারপর কি হলো"?
–আমি আম্মুর সাথে রাগারাগি করে হসপিটালের নিচে চলে আসি। রাস্তায় প্রায় ঘন্টাখানেক হাঁটাহাঁটি করি।
আমার যখন ভীষণ রাগ হয় তখন রাস্তায় একলা একলা হাঁটলে আমার রাগ কমে যায়। 
আমার রাগ কমে যাওয়ার পর আবার কেভিনে ফিরে আসি।
তখন রাত ১২টা।
আমি দেখলাম আম্মু এবং সামিয়া দু'জনেই একটা সিটে ঘুমিয়ে পড়েছে।
আমিও অন্য একটা সিটে গিয়ে শুয়ে পড়ি। আমার চোখটা লেগে আসে স্যার। ঘুমিয়ে যাই। ঘুম যখন ভাঙে তখন দেখি আমার হাতে একটা রক্তাক্ত ছুরি। রুমটা এলেমেলো হয়ে আছে।
সিটের মধ্যে দেখি আম্মুর লাশ। ফ্লোরে সামিয়ার লাশ।
আমি তাড়াতাড়ি উঠে আম্মুর কাছে যাই। আমি তখনো কিছু বুঝে উঠতে পারছিলাম না। কিছু বুঝে উঠার আগেই দরজা দিয়ে একজন নার্স ঢুকে চিৎকার করে আওয়াজ করলো। ব্যাস। তারপর তো আপনি সব জানেন।
আমি খুন করিনি মেহরাব স্যার।
বিশ্বাস করুন আমি কিছু করিনি।
আমি'তো আমার আম্মুকে পৃথিবীর সবচাইতে বেশি ভালোবাসতাম"।
.

কথাগুলো শেষ করে রাজু আবারো কান্না শুরু করলো। আমি বুঝতে পারছিলাম এখানে রাজু কিছু করেনি। রাজু ঘুমে থাকার সময় কেউ এসে খুনটা করেছে।
কিন্তু এতোকিছু হলো রুমের ভিতর, আর রাজু কিছুই টের পেলোনা?
অবাক কন্ঠে আমি বললাম,
–তুমি বলছো তোমার আম্মু এবং সামিয়া একিই বেডে ঘুমিয়ে ছিলো। কিন্তু আমরা সামিয়ার লাশটা ফ্লোরে পাই।
এটার মানে হচ্ছে খুনির সাথে সামিয়ার হাতাহাতি হয়েছিলো, যার জন্য সামিয়াকে ফ্লোরের মধ্যে খুন করা হয়েছে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে কেউ তোমাদের কেভিনে এসে তোমার আম্মুকে খুন করলো, নোংরামি করলো, সামিয়ার সাথে হাতাহাতি হলো, তারপর সামিয়াকেও খুন করলো। অথচ তুমি কিচ্ছু টের পেলেনা? এটা কিভাবে সম্ভব"?
রাজু ঢোঁক গিলে ভীত কন্ঠে বললো,
–আমি চোখ খুলার পর এটাই ভাবছিলাম স্যার। আমার মনে হচ্ছিলো আমি স্বপ্ন দেখছি। এতকিছু হলো অথচ আমি টের ই পাইনি। কিন্তু আমার ঘুম খুবই পাতলা স্যার। কোনো কিছুর হালকা শব্দ পেলেই আমার ঘুমটা ভেঙে যায়। কিন্তু ওইরাতে এমন হয়নি।
এটা কিভাবে হলো আমি জানিনা"।
রাজুর সাথে আর কোনো কথা বাড়ালাম না। কিন্তু আমি নিশ্চিত, এই ভয়ানক খুনটার পিছনে অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে। যেটা আমাকে জানতেই হবে।
অনেকগুলো প্রশ্ন এখন মাথার ভিতর নাড়াচাড়া করছে,
"২জন নারীকেই খুন করলো কেনো?
"একিই রুমে রাজু থাকা সত্বেও রাজু কে খুন করলোনা কেনো"?
"আরিফ সাহেব এসে মেয়ের এই অবস্থা দেখেও হসপিটালে থাকলেন না কেনো"?
" আরিফ সাহেব কি খুনটা করেছেন?
না'কি রাজুর কোনো শত্রু"? না'কি অন্যকেউ?
সবচাইতে বড় যে প্রশ্ন,
"কেউ খুন করে লাশের সাথে শারীরিক সম্পর্কে করবে কেনো"?
উত্তর'গুলো আমাকে খুঁজে বের করতেই হবে। আর আমি নিশ্চিত, প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর ওই হসপিটালেই পড়ে আছে।
.

~ মেহরাব নয়ন
মেহরাব নয়নের রহস্য গল্প- "ইন্দ্রিয় লালস-০১" মেহরাব নয়নের রহস্য গল্প- "ইন্দ্রিয় লালস-০১" Reviewed by সার্থান্বেষী on জুন ২৯, ২০২০ Rating: 5

কোন মন্তব্য নেই:

Copyright 2020, All Rights Reserved by Blog Sarthanweshi

Blogger দ্বারা পরিচালিত.