বাংলাদেশ ব্যাংকের এডি (জেনারেল) নিয়োগ পরীক্ষাঃ চূড়ান্ত প্রস্তুতি সংক্রান্ত কিছু পরামর্শ
করোনা দুর্যোগের কারণে এডি নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোডের সুযোগ দেওয়া হয়েছে আরেকবার। অক্টোবর-নভেম্বরের আগে পরীক্ষা হবে কিনা সেটি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। ৪১তম বিসিএসও নভেম্বরে নেওয়ার বিষয়ে আশাবাদী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এডি নিয়োগ পরীক্ষার সার্কুলার হয়েছিলো গতবছর ডিসেম্বরে। সে হিসেবে সার্কুলারের পরে প্রিপারেশন,নেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় পেয়েছেন আপনারা। যদিও অনেকেই করোনার লকডাউনের মধ্যে মোটামুটি ডিপ্রেশড হয়ে পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছিলেন৷ নতুন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের প্রজ্ঞাপনে তারাও আবার নড়েচড়ে বসে প্রিপারেশন নেওয়া শুরু করেছেন।
এনিওয়ে...পড়াশোনা হয়তো আপনারা প্রচুর করেছেন, কিন্তু সাইকোলজিক্যাল প্রিপারেশনের কি অবস্থা? পরীক্ষার হলে আপনার স্ট্র্যাটেজিগুলো কেমন হবে সেগুলো কি ঠিক করেছেন সবাই? সাইকোলজিক্যাল প্রিপারেশনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পরীক্ষার হলের মানসিক প্রেশার নেওয়ার সক্ষমতা, টেম্পটেশন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারা, আনএক্সপেক্টেড সিচুয়েশন ফেইস করলে সেটা নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারা ইত্যাদি। স্ট্র্যাটেজি গুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কোন টপিকের প্রশ্নের উত্তর আগে দেবেন কোনটা বা পরে, নেগেটিভ মার্কিং থাকলে বা না থাকলে কিভাবে আগাবেন, একটি প্রশ্নে বেধে গেলে চেষ্টা করবেন নাকি স্কিপ করবেন এসব।
নিয়োগ পরীক্ষা দিতে যাওয়া আর যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়া একই কথা। হয় বাঁচবেন না হয় মরবেন। চাকুরী পাবেন অথবা পাবেন না; এর মাঝখানে কিছু নাই। এসএসসি/এইচএসসি'র মতো সবাই পাস করে যাওয়ার চান্স নেই এখানে। তার উপরে আছে বয়সের একটা লিমিট। সুতরাং খুব বেশী ট্রায়াল অ্যান্ড এরর করার সুযোগ পাবেন না এখানে। মরার উপরে খাঁড়ার ঘা হয়ে গেছে করোনা পরিস্থিতি। সবাই এখন বুঝতে পারছে যে সরকারী চাকুরীই এখন সবচেয়ে নিরাপদ। মেধাবীদের একটা বড় অংশ যারা সবসময়ই মাল্টিন্যাশনাল/এফএমসিজি কোম্পানির ইঁদুর-বিড়াল দৌড়ের অ্যাড্রেনালিন রাশ উপভোগ করতে পছন্দ করে তারাও এখন সরকারী চাকুরীর দিকে ঝুঁকছে। আর...তাদের পছন্দের শীর্ষে কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকও আছে। সুতরাং...যুদ্ধ যে বেশ কঠিনই হতে যাচ্ছে সামনে...এটা মাথায় রেখেই আগান। আপনার এই সাইকোলজিক্যাল প্রিপারেশন এবং অ্যাডপ্টেড স্ট্র্যাটেজিগুলো যদি মনে করেন একবারে যুদ্ধের ময়দানে বা পরীক্ষার হলে গিয়েই ব্যবহার করবেন, তাহলে বোকার স্বর্গে বাস করছেন আপনি। কয়েকদিন আগে ভারত-চীনের সীমান্ত উত্তেজনার উপরে একটা আর্টিকেলে পড়ছিলাম যে যুদ্ধ বাধলে কি হতে পারে। সেখানে ভারত এবং চীনের সৈন্যদের অনেক অনেক উপরে রেটিং দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে। কারণ ভারত গত ২০-২৫ বছরে কোন যুদ্ধই করেনি, চীনের সেনাবাহিনীর তবুও বাইরের দেশগুলোতে কিছুটা অ্যাকটিভিটিজ আছে, অন্যদিকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী পুরোটা সময় জঙ্গীদের সাথে ভয়ংকর যুদ্ধেই ছিলো। আসল যুদ্ধে নামার আগে বাহিনীগুলোকে প্রচুর ডেমো যুদ্ধে অংশ নিয়ে নিয়ে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে হয়; যেন তারা বুঝতে পারে কোথায় তাদের ভুল হচ্ছে এবং কিভাবে সেই ভুলগুলোকে শুধরাতে হবে। আপনারাও ডেমো যুদ্ধে নেমে পড়েন। মক টেস্ট দিতে থাকেন। বাসায় পরীক্ষার পরিবেশ তৈরী করে নিয়ে নিজেই নিজের ভুল ধরতে চেষ্টা করেন; কিভাবে সেই ভুলগুলোকে এলিমিনেট করবেন সে উপায় বের করেন। ৪-৫ মাস অনেক সময়। ইচ্ছা থাকলে এই সময়ের মধ্যে খুব সহজেই একটা ফাটাফাটি প্রিপারেশন নিতে পারবেন
যারা একদম শুরু থেকে শুরু করতে চান তাদের জন্য - এখানে ক্লিক করুন
-ফেরদৌস কবির
-ডেপুটি ডিরেক্টর
-বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের এডি (জেনারেল) নিয়োগ পরীক্ষাঃ চূড়ান্ত প্রস্তুতি সংক্রান্ত কিছু পরামর্শ
Reviewed by সার্থান্বেষী
on
জুন ২৫, ২০২০
Rating:
কোন মন্তব্য নেই: